রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 3 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজশাহী:
বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে রাজশাহী বিভাগীয় শহর অন্যতম। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক ও শিক্ষার অন্যতম প্রানকেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধীক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের কোমল মতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণের জন্য রাজশাহীতে আসেন। যারা দেশ ও জাতীর ভবিষ্যৎ। কিন্তু আজ করুণ কন্ঠে ও হতাশারগ্লানি নিয়ে বলতে হয়। মাদকের ভয়াল থাবা দেশ ও জাতির উন্নয়নে প্রধান বাধা। দেশের মেধাবি শিক্ষার্থীর আকালে ঝরে যাচ্ছে, ছেলে মা-বাবাকে হত্যা করছে। বাবা তার স্ত্রী সন্তানকে মারধর করছে। হাজারো সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে। মাদকাশক্ত ছেলের অত্যাচারে মা থানার দুয়ারে এসে অসহায়ের মত কান্নাকাটি করে যাচ্ছে। তার এসবের মূলে রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক গড ফাদার মেহেদী হাসান অলি। এমনি একটি গণসাক্ষরীত অভিযোগ পুলিশ সুপার অর্গানাইজড ক্রাইম : উইং, টেররিজম ইউনিট, বাংলাদেশ বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করেন মতিহার থানার নিরহ অধিবাসীরা। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান অলি রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার ধরমপুর বৌ-বাজার কাশেমের মোড়ের বাসিন্দা মোঃ আকবোর আলীর ছেলে।
মতিহার থানার নিরহ অধিবাসীর গণসাক্ষরীত অভিযোগটি তদন্ত করেন, অর্গানাইজড ক্রাইম :উইং স্মারক নং-৩২৫৩,তাং ০১-১২-২০২২, মতিহার থানার স্মারক নং-৬২৫, তাং-০১-০২-২০২৩, অত্র কার্যালয়ের স্মারক নং- ০৪, তারিখ- ০৩,০১,২০২৩। অর্গানাইজড ক্রাইম :উইং এর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়। মেহেদী হাসান অলি (২২) সে মতিহার থানা পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিকে জিম্মি ও সনাক্ত করে সে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে তার এই ভয়াবহ মাদক ব্যবসা বেশ নির্ভিগ্নেই চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে অস্ত্র সরবরাহ, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে মাদক কেনা-বেচা এমন কোন অপকর্ম নাই যা সে করেনা। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা সুত্রে বর্ণিত স্মারক মূলে প্রাপ্ত অভিযোগ পুংঙ্খানুভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সূত্রে বর্নিত অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযুক্ত ব্যক্তি মেহেদি হাসান অলি শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ, রাজনীতি পরিচিতি এবং থানার রেকর্ডপত্র যাছাই, স্বভাব, চরিত্র ও কার্যকলাপ জানানোর জন্য অত্র অর্গানাইজড ক্রাইম : উইং স্মারক নং-০৪, তারিখ-০৩/০১/২৩ মুলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একখানা পত্র প্রেরণ করা হয়। সেই পত্রের জবাব প্রাপ্ত হইয়া পর্যালোচনা করে দেখা যায়। অভিযুক্ত মোঃ মেহেদী হাসান অলি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। সে অবিবাহিত। তার কোন রাজনৈতিক দলের কোন পদে না থাকলেও আওয়ামীলীগ কর্মী বলে জানা যায়। তার সন্ধান চরিত্র ভালো নয়। মেহেদি হাসান অলি একজন হোয়াইট কালার মাদক ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সিন্ডিকেটের সাথে যোগসাজসে বিভিন্ন এলাকায় মাদক পাচার করে থাকে। এমনকি সিন্ডিকেটের এক ব্যক্তি ধরা পড়লে পুলিশ এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে হেডকোয়াটারে চিঠি দেয় এবং বদলি করার জন্য তৎপর হয়। তিনি দূর্গম চর এলাকা হইতে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য এনে রাজশাহী শহরের সু-কৌশলে বিক্রি করে। তিনি অত্যান্ত ধুরন্দর প্রকৃতির মানুষ। পুলিশ বা অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কখনো ধরা পড়েন নি। তার বিরুদ্ধে মতিহার থানায় কোন মাদকের মামলা নাই। পিসিপিআর যাচাই করে তার বিরুদ্ধে মতিহার থানার মামলা নং ১৬, ১১/০২/২০২৩ ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৫০৬/১১৪ পেনাল এর একটি মামলা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্তে মতিহার থানার জিডি নং-১১২৭, তাং-১৯/০১/২০২৩ মূলে একটি জিডি আছে মর্মে এএসআই (নিরস্ত্র) আবু বক্কর সিদ্দিক,বিপি নং-৭৮১৮০১৮১০৯, মতিহার থানা এমপি, রাজশাহী। একখানা প্রতিবেদন দাখিল করেন। জিডি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অভিযোগে বর্ণিত মেহেদী হাসান অলি মতিহার থানায় মাদক মাফিয়া। সে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী দিপু, বকুল, অলি, জনি, জাহাঙ্গীর, আলামিন ও বাবুদেরকে ব্যবসায় নেতৃত্ব প্রদান করে। মেহেদি হাসান অলি চর এলাকা হইতে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও অস্ত্র চোরাচালান করে থাকে। কোন পুলিশ সদস্য এদের মাদক ব্যবসায় ও চোরা চালানে বাধা হয়ে দাঁড়ালে বা কোন পুলিশ এদের সাথে সমোঝাতা না করলে অলি ওই পুলিশ সদস্যকে হুমকি ধামকি প্রদান করেন। এবং তার নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ীগণ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের প্রভাকান্ড ও অপপ্রচার ছড়ায়। অলির বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়াটার্সে একাধিকবার গোপন রিপোর্ট প্রধান করা হয়েছে। মতিহার থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান ও পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষায় মেহেদী হাসান আলি একটি বড় হুমকি এলাকায়।
তদন্ত প্রতিবেদনটি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্তকার্য শুরু করা হয়। তদন্তে অলির সকল অপকর্ম সত্য মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এদিকে, মতিহার থানা অঞ্চলে মাদক কারবারি আটক হলেই অলি হাজির। বাঁধাদান, নিউজের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শণ। আবার মাদকসহ কোন মাদক কারবারি আটক হলে থানায় দৌঁড়ঝাপ। পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক কারবারির ভিডিও বক্তব্য নিয়ে অপ-প্রচার। এমন অভিযোগ মতিহার থানা পুলিশের দীর্ঘদিনের। তারপরও অজ্ঞাত কারণে অলি বহাল তবিয়্যতে থেকেই চালাচ্ছে তার নিত্য দিনের কর্মকান্ড।
অলিন বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে 01775311295 পোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।